1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চলমান রাখতে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে- আলোচনায় বিশিষ্টজনরা

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৯০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চলমান রাখতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরির কথা জানিয়ে তারা বলেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন করার কোনো বিকল্প নেই ।

শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বৃত্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘শান্তি সমৃদ্ধি ও প্রগতির পক্ষে নাগরিক সম্মিলন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন হলেও দেশের স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো রয়ে গেছে। যে কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।তারা বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধী তাদের এই দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। দেশের গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিদেশি শক্তিও এ ব্যাপারে সবসময় তৎপর থাকে। দেশে একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রচলন ছিল। যাদের কাজ ছিল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দায়িত্ব নিয়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে বিজয়ী দলের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। কিন্তু ঘটেছে উল্টো ঘটনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিজেরাই বছরের পর বছর ক্ষমতায় থেকেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে যেন গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে।

শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, একসময় এ দেশের তরুণ প্রজন্ম আমাদের কাছে প্রশ্ন করত যে, এই দেশে রাজকাররা কীভাবে মন্ত্রী হয়। আমরা তখন সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতাম না। একসময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে রাজাকারের বিচার করে। আসলে এভাবেই সবকিছুর পরিবর্তন হয়। আমরা সবাই বলি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যেন ক্ষমতায় আসে। আমাদের সবার একটাই দাবি হওয়া উচিতÑ ক্ষমতাসীন দলও স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে, বিরোধীদলও স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি হতে হবে।

সভার সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, দেশ আজ অর্থনীতিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় সমৃদ্ধ। এখন আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, দেশের শিক্ষিত সমাজ যেন সঠিক জায়গায় সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। তরুণরা এখনো বিশ্বাস করে যে, তারা এই দেশে থেকেই অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এই তরুণসমাজকে কাজে লাগাতে তাদের মেধা সঠিক জায়গায় যেন ব্যবহার করা হয় এটা ক্ষমতাসীনদের নিশ্চিত করতে হবে।

সম্মিলনের বিষয়ে বৃত্তান্ত ’৭১ ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক মুহাম্মদ তানভীর বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থায়ী রূপে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সুদৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করাই নাগরিক সম্মিলনের উদ্দেশ্য।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব আবেদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, নাট্যব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেকে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..